সারা বাংলা

চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে ২৩ নাবিক বহনকারী জাহাজ ‘এমভি জাহানমনি’

চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে ভিড়েছে ২৩ নাবিক বহনকারী জাহাজ ‘এমভি জাহানমনি’। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে ৩টা ৪৩ মিনিটে জাহাজটি বন্দরে ভেড়ে। বিকেল ৪টা ১৫মিনিটে জাহাজ থেকে নেমে বন্দরে পা রাখেন তারা।

এসময় নাবিকদের স্বাগত ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী,  চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান এম সোহায়েল। নাবিকদের স্বাগত জানাতে ঢাকা থেকে অনলাইনে যুক্ত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।

এর আগে, জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার প্রায় দেড় মাস পর আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরে তীরে নামবেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ক্যাপ্টেনসহ ২৩ নাবিক। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টায় চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপকূলে নোঙর করে এমভি আবদুল্লাহ।

স্বজনদের সঙ্গে এমভি আবদুল্লাহ’র চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান

মঙ্গলবার সকালে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের দায়িত্ব নিতে ইতোমধ্যে নতুন টিম জাহাজে পৌঁছেছে। জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্ত ২৩ নাবিক নতুন নাবিক টিমের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে আজ বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে ফিরবেন। এমভি আবদুল্লাহ থেকে একটি লাইটার জাহাজের মাধ্যমে তাদের তীরে ফিরিয়ে আনা হবে। এর পর বন্দর এবং কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা সবাই স্বজনদের কাছে ফিরে যাবেন।  

জাহাজের নাবিকদের বরণ করার পর তোলা হয় ছবি

কেএসআরএম সূত্র জানায়, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকদের তীরে ফিরিয়ে আনতে এরইমধ্যে একই কোম্পানির মালিকানাধীন অপর একটি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর কাছে পৌঁছেঁছে। বিকেল ৩টা নাগাদ নাবিকরা চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে বর্তমানে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর রয়েছে। এগুলো লাইটার জাহাজের মাধ্যমে খালাস করা হবে।

মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ জিম্মি করে। ১৪ এপ্রিল ভোররাতে জাহাজটি জলদস্যু মুক্ত হয়।