সারা বাংলা

দুই মেয়েকে জড়িয়ে কাঁদলেন চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান

দুই মেয়েকে জড়িয়ে কাঁদলেন চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান

যার অডিও বার্তার মাধ্যমে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ জিম্মি হওয়ার খবর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল তিনি ওই জাহাজের চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান। জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্তির পর আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাহাজ থেকে চট্টগ্রামের মাটি স্পর্শ করেছেন আতিকুল্লাহ। এর আগে, দুপুর থেকেই তীব্র রোদের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের এক নম্বর জেটিতে বাবার জন্য অপেক্ষা করছিলো আতিকুল্লাহ খানের দুই মেয়ে ইয়াশরা এবং উনাইজা। জাহাজ থেকে নেমেই আতিকুল্লাহ খান অশ্রু জলে জড়িয়ে ধরেন দুই কন্যাকে। 

সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আতিকুল্লাহ খান বলেন, ‌‘এ যেন আমাদের মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে আসা। মহান আল্লাহর কাছে আমরা শুকরিয়া আদায় করছি। আজ আমিসহ আমার ২৩ সহকর্মী আমাদের পরিবারের কাছে ফিরতে পেরেছি। এর চেয়ে আনন্দের আর কিছুই নেই। আজ পরিবার কাছে পেয়ে আমাদের আনন্দের শেষ নেই। প্রধানমন্ত্রী এবং জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। 

বাবাকে কাছে পেয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার অনুভূতিও হারিয়ে ফেলেছিল আতিকুল্লাহ খানের দুই মেয়ে । সারাক্ষণ বাবাকে জড়িয়ে ছিল তারা। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ইয়াশরা বলেন, বাবা জাহাজে বন্দি থাকার দিনগুলোতে সারাক্ষণ কান্না করেছি। আমার মা সারাক্ষণ নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন। বাবা জিম্মি থাকায় আমরা এবারের ঈদটাও পালন করিনি। আজ বাবা সুস্থ অবস্থায় ফিরেছেন। আমাদের অনেক খুশি লাগছে। বাবা ফিরে আসায় এখন বাবাকে নিয়ে ঘুরতে যাবো।