সারা বাংলা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম এবার যখনই পাকবে তখনই বাজারে উঠবে

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খান বলেছেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ বছরও আম পাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে না। যখন আম পাকবে, তখনি বাজারজাত করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।’

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত ম্যাংগো ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও বাজারজাত করণে এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন এই মতবিনিমিয় সভার আয়োজন করে।

জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খান বলেন, ‘আমচাষি, বাগান মালিক ও কৃষি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেই গাছ থেকে আম পাড়ার নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হচ্ছে না। আম পাকলেই বাজারজাত করতে পারবেন চাষিরা। অপরিপক্ব আম বাজারজাত করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সদর উপজেলার পুরাতন বাজার, শিবগঞ্জের কানসাট, ভোলাহাট ও রহনপুনের আম বাজারের সকল সিন্ডিকেটের বিপক্ষে জেলা প্রশাসন রয়েছে। আমচাষিদের জিম্মি করে মধ্যস্থতাকারী যেন লাভবান হতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। বাজার মনিটরিংয়ে জেলা প্রশাসনের একটি টিম মাঠে কাজ করবে।’

আমচাষি ও বাগান মালিকরা মতবিনিময় সভায় বলেছেন, আবহাওয়ার কারণে এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের মুকুল ও ফলন কম। তীব্র তাপপ্রবাহে ঝরে পড়েছে অনেক আমের গুটি। তবে সম্প্রতি বৃষ্টি হওয়ায় আমের গুটি ঝরা অনেক রোধ হয়েছে। জুনের প্রথম সপ্তাহে পাকা আম বাজারে আসবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পলাশ সরকার বলেন, ‘এবার আমের জন্য অফ ইয়ার বা কম ফলনের বছর। ফলে দাম বাড়তি থাকবে। আশা করছি, চাষিরা কাঙ্ক্ষিত দামে আম বিক্রি করতে পারবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ম্যাংগো ক্যালেন্ডার না দেওয়াই ভালো। কারণ আবহাওয়ার কারণে বেঁধে দেওয়া নিদিষ্ট সময়ের আগে যদি আম পেকে যায় তাহলে চাষিরা বাজারে আম বিক্রি করতে হিমশিম খাবেন।’

জেলায় এ বছর ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন বেশি।