ঘূর্ণিঝড় রেমাল রোববার (২৬ মে) সকাল ৬টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ অবস্থান করছিল। এটি সন্ধ্যা বা রাত নাগাদ কলাপাড়া উপলকূল অতিক্রম করতে পারে। তাই পটুয়াখালির পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী এতথ্য জানান।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। গতকাল শনিবার রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসের চাপও বেড়েছে অনেকটা। সাগর-উত্তল থাকায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে সব পর্যটককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় গতকাল পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন জরুরি সভা করেছে। সেখানে জানানো হয়, ঝড় মোকাবিলায় জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন সেন্টার ৩৫টি মুজিব কিল্লা, ৭৩০ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ টাকার শিশু খাদ্য, ১০ লাখ টাকার গো-খাদ্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া, শুকনা খাবার রয়েছে ১৫০০ প্যাকেট। নগদ ২৪ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা বিভিন্ন উপজেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মানুষকে সচেতন ও দুর্যোগে উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিপির ৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও সড়ক বিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিসকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, রাতে বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসকারী কিছু লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে মাঠে সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছে।