প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোংলার দক্ষিণপশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করেছে। সোমবার (২৭ মে) সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উপকূলে বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে (১৭ নং) বলা হয়, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালীর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় রয়েছে।
এর আগে, রোববার (২৬ মে) রাত সাড়ে ১০টার পরে ঘূর্ণিঝড় রেমাল খুলনা উপকূলে তাণ্ডব শুরু করে। যা এখনো চলমান আছে। ঝড়ো বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া।
এদিকে, রেমালের প্রভাবে রূপসা ও ভৈরবসহ পার্শ্ববর্তী নদ-নদীর পানি বেড়ে খুলনা মহানগরীতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। নদীর পানি ড্রেনে প্রবেশ করে পার্শ্ববর্তী সড়ক এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সড়কে যানবাহন চলাচল করছে না।
বটিয়াঘাটার জলমা এলাকার বাসিন্দা রাশিদুল ইসলাম বলেন, রাত থেকে বাতাসের গতি বেড়েছে। বাতাস আর বৃষ্টির কারণে ঘরের বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
পাইকগাছা উপজেলার সাফায়েত হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। রেমালের প্রভাবে নদীতে জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করেছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রেমাল খুলনা উপকূলে আঘাত হানে। এটি এখনো তাণ্ডব চালাচ্ছে। আরও কিছু সময় এভাবে চলবে।
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে খুলনার ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছেন। তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।