ঘূর্ণিঝড় রেমালে খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা জোনের ৬টি স্থানের ৬১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব স্থানে বাঁধ ভেঙে লবণ পানি লোকালয় প্রবেশ করছে। চিংড়ি ঘের, ফসলের খেতসহ ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। সোমকার (২৭ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা। তিনি জানিয়েছেন, তারা তাৎক্ষিনক ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছেন।
বাঁধ ভেঙে খুলনার দাকোপ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে
প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা জানান, মোট সাতটি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়। আজ সোমবার দুপুরের মধ্যে খুলনার কয়রার একটি বাঁধ মেরামত করতে সক্ষম হয়েছেন। অন্য ভাঙন স্থানগুলো হলো- খুলনার দাকোপ উপজেলার তিলডাঙ্গা-বটবুনিয়া ঢাকী নদীর ডান তীর প্রায় ২০ মিটার। সেখানে বেড়িবাধঁ ভেঙে লোকালয়ে লবন পানি ঢুকছে। একই উপজেলার পানখালী–খলসি এলাকার পশুর নদীর ভাঙন। বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জের বলাইবুনিয়া ইউনিয়নে শ্রেনীখালী-দৈবজ্ঞকাঠিতে পানগাছী নদীর ভাঙন। বাগেরহাট জেলার সদর ইউনিয়নের দড়াটানা নদীর ভাঙন। খুলনা জেলায় (সার্কেল সাতক্ষীরা) উত্তরবেদকাশী হরিহরপুর শাকবাড়ী নদীর ভাঙন এবং খুলনা জেলার পাইকগাছা ইউনিয়নের দেলুটি ইউনিয়নের ভদ্রা নদীর ভাঙন।
প্লাবিত এলাকার অনেকের ঘরে হাটু পরিমাণ পানি প্রবেশ করেছে
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা এলাকায় প্রায় ৬১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানে নদী উপচে পানি লোকালয়ের ভেতেরে প্রবেশ করার ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাউবোর কর্মীরা মাঠ তদারকি করছেন।