দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরে সবধরনের চালের দাম কমেছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। চলতি বোরো মৌসুমের নতুন চাল বাজারে আসতে শুরু করায় এর প্রভাব পড়েছে দামে, বলছেন ব্যবসায়ীরা। আর চালের দাম কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যায় জেলার হিলি বন্দর বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত এক থেকে দেড় সপ্তাহ আগে পুরাতন যে জিরাশাল চাল কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছিলো ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা, বর্তমান নতুন জিরাশাল চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকায়, ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজি দরে পুরাতন সম্পাকাটারি চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়, ৫২ থেকে ৫৩ টাকা কেজি দরে পুরাতন ২৯ জাতের চাল বিক্রি হয়েছিলো, নতুন সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৭ থেকে ৪৮ টাকায়। এছাড়াও ৫০ টাকা কেজি দরে পুরাতন ২৮ জাতের নতুন চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৪৭ টাকায়। কম দামে এসব চাল বেচাবিক্রি করতে পেরে স্বস্তি ব্যবসায়ীদের।
হিলি বাজারে চাল কিনতে আসা আসাদুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগেও জিরাশাল চাল ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা কেজি কিনেছিলাম, সেই চাল এখন ৫২ টাকায় কিনলাম। চালের দাম অনেক কমে গেছে, তবে আর একটু কমলে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের অনেক উপকার হতো।
চাল ব্যবসায়ী মন্টু মিয়া বলেন, এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে সব ধরনের নতুন চাল উঠতে শুরু করেছে। দাম আগের তুলোনায় অনেক কমে গেছে। আশা করছি আগামীতে আরও চালের দাম কমে যাবে।
হিলি বাজারে চাল ব্যবসায়ী স্বপন শাহ বলেন, বাজারে প্রতিটি চালের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা কেজিতে কমে গেছে। এবার কৃষকের ধানের ফলন ভাল হয়েছে, হয়তো ভারতের এলসি'র চাল প্রয়োজন হবে না। কেননা কয়েক মাস পর আবারও আমন মৌসুম শুরু হবে।