সারা বাংলা

রেমালের তাণ্ডবে ঝালকাঠিতে ৬ শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত 

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ঝালকাঠিতে ৬ শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া ৫ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল গত রোববার (২৬ মে) রাতে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে।  

ঝড়ের রাতে জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের বলতলা গ্রামে গাছ চাপা পড়ে জাকির হোসেন (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। 

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় জানায়, ঘূর্ণিঝড়ে জেলার ৬ হাজার ১৯০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাড়ে ৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২ হাজার ৭০টি পুকুর ও ১৫৯টি মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। 

বিদ্যুতের খুঁটির ওপর গাছ পড়ে রোববার (২৬ মে) রাত থেকে টানা তিন দিন ধরে জেলায় বিদুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে আজ সোমবার (২৭ মে) সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানি নামতে শুরু করেছে। তবে এখনও কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকার সড়কে এখনও উপড়ে পড়া গাছ পড়ে আছে। এসব গাছপালা কেটে সরিয়ে নিতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

এদিকে, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গুদামে পানি প্রবেশ করায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গ্রামীণ ফোনসহ বেশ কয়েকটি মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। 

ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ঝালকাঠি জেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন দপ্তর থেকে ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।