দেশের বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ১০ মাস পর আবারও যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। গত বুধবার এবং গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ মে) এই দুই দিনে কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৩টি ট্রাকে ১২০ টন কাঁচামরিচ ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আমদানি করেন।
এদিকে, আমদানির খবরে এক দিনেই বন্দর এলাকার পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচের কেজি ২০০ টাকা থেকে কমে ১৮০ টাকায় নেমেছে। তবে খোলা বাজারে এখনো ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই খাদ্য পণ্যটি।
মরিচ আমদানিকারকরা হলেন- রাজ এন্টারপ্রাইজ, শিমু এন্টারপ্রাইজ ও সেঞ্চুরী প্লাগ। বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস হয়ে এসব কাঁচামরিচ যাবে ঢাকার কাওরান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
বন্দর সূত্র জানায়, প্রতি টন কাঁচামরিচ ২৩৮ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। কেজিতে সরকারকে ৩৯ টাকা আমদানি শুল্ক পরিশোধ করতে হয়েছে। ফলে বেনাপোল বন্দর পর্যন্ত আমদানি খরচ পড়ছে প্রায় ৭০ টাকা কেজি।
আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, আমদানি শুল্ক কমলে তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় এই খাদ্য পণ্যটি বাজারে কম দামে সরবরাহ করতে পারবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেন জানান, ২০০ টাকায় কাঁচামরিচ কেজি কিনতে খুব কষ্ট হচ্ছে। শুনলাম আমদানি শুরু হয়েছে। এখন দাম কমতে পারে।
জামাল হোসেন নামের অপর এক ক্রেতা বলেন, কাঁচামরিচ আমদানির খবরেই বাজারে দাম কমেছে কেজিতে ২০ টাকা।
বেনাপোল বন্দরে খাদ্যদ্রব্যের মান পরীক্ষায় নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠান উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, প্রায় ১০ মাস পর ভারত থেকে আবারো কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানিকারকরা যাতে দ্রুত তাদের পণ্য বন্দর থেকে খালাস করতে পারেন সে বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন, দুই দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১২০ টন কাঁচামরিচ ১৩টি ট্রাকে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার পাঁচটি ট্রাকে ৩৭ টন ও বৃহস্পতিবার আটটি ট্রাকে ৮৩ টন কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়েছে। পণ্য দ্রুত খালাস দিতে বন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমদানিকৃত কাঁচামরিচ আমদানিকারকরা দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন।