ফরিদপুর জেলায় চলতি বছর চাহিদার চেয়ে ৫১ হাজার মেট্রিক টন বেশি দুধ উৎপাদন হয়েছে। পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদীবেষ্টিত বিশাল চর কাজে লাগিয়ে উৎপাদন আরও বাড়িয়ে দেশের চাহিদার বড় অংশ মেটানো সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রোববার (২ জুন) ফরিদপুর শহরের জসীম উদদীন হলে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তারা এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসন এবং জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আয়োজনে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ঝর্ণা হাসান।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. শাহীনুর আলম ও বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক জিনাত সুলতানা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সজীব কুমার বিশ্বাস, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ফরিদপুর জেলায় এ বছর ২ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন দুধ উৎপাদন হয়। আর জেলায় মানুষের চাহিদা ১ লাখ ৭৪ হাজার মেট্রিক টন।
বক্তারা বলেন, ফরিদপুরের চরাঞ্চলে বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে, যার অধিকাংশই অনাবাদী থাকে। এসব জমিতে পশু খাদ্যের আবাদ বৃদ্ধি করে এবং বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে পশু পালন করে দেশের দুধের চাহিদার বড় অংশ পূরণ করা সম্ভব।
এ সময় কেউ এ ধরনের খামার করতে আগ্রহী হলে চরের খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক। বক্তারা দুধ শিল্পের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার আহ্বান জানান।