সারা বাংলা

সাভারের কিশোর গ্যাং ‘ইমন গ্রুপের’ দলনেতা গ্রেপ্তার

ঢাকার সাভারে কিশোর গ্যাং ‘ইমন গ্রুপের’ মেহেদী হাসান ইমন ওরফে গিয়ার ইমনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র‍্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান। গ্রেপ্তারকৃত ইমন ঢাকার সাভারের বাসিন্দা।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ মার্চ সাভারের ছায়াবিথি আমতলা মোড় এলাকায় শহিদুল ইসলাম (২৪) নামে এক দন্ত চিকিৎসকের সহকারীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে নিহতের বড় ভাই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তে নেমে গত ১১ মে ঢাকার রামপুরায় অভিযান চালিয়ে কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা নুর আলম (২৪) ওরফে টান আলমকে গ্রেপ্তার করে। তবে ওই ঘটনায় অন্যতম আসামি ও হত্যাকারী ইমন আত্মগোপনে চলে যায়।

ওই ঘটনা ছাড়াও গত ১১ মার্চ সাভার বাজার রোডের একটি মার্কেটের পেছনে পরিত্যক্ত ফাঁকা জায়গায় সোহেল মোল্লা (২৫) নামে এক কাঠ মিস্ত্রিকে হত্যা করা হয়।

এ ছাড়া উপজেলার সোবহানবাগ এলাকায় মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমজাদ হোসেন (৩৪) নামে অপর এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়।

এসব ঘটনায় জড়িত অন্যতম পলাতক আসামি মেহেদী হাসান ইমন ওরফে গিয়ার ইমন। তবে সে দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকাসহ বরিশাল, ঝালকাঠি, জামালপুর এলাকায় আত্মগোপন করেছিল।

৬ জুন রাতে জামালপুর সদর উপজেলার নুরুন্দী এলাকায় র‍্যাব-৪ ও র‍্যাব-১৪ এর একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইমনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তার বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, এই ইমন সাভার এলাকার সক্রিয় কিশোর গ্যাং গিয়ার ইমন গ্রুপের দলনেতা। সে ও তার সহযোগীরা মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, ডাকাতিসহ একাধিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

গত ২৮ মার্চ মাদক সেবনের টাকা জোগাড় করতে পথচারী শহিদুল ইসলামকে তারা জিম্মি করে তার কাছ থেকে টাকা পয়সা ও মোবাইল ফোন চায়। এতে অস্বীকৃতি জানালে ইমন ও তার সহযোগী নুর আলম মিলে ধারালো সুইচ গিয়ার ভুক্তভোগীর পেটে চালিয়ে দেয়। এরপরই তারা এলাকা ত্যাগ করে।

ইমনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় তিনটি হত্যা মামলাসহ একাধিক ছিনতাই, মারামারি ও মাদকের মামলা রয়েছে। লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ইমনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।