সারা বাংলা

নিখোঁজের চারদিন পর মিললো গৃহবধূর মাটিচাপা মরদেহ

ঢাকার সাভারে নিখোঁজের চার দিন পর এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

পুলিশের দাবি, এক নারী মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তারে সহায়তা করায় তার স্বামীর পরিকল্পনায় ৪-৫ জন মিলে ওই গৃহবধূকে হত্যা করে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) উপজেলার বিরুলিয়া এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সীমা আক্তার সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজনগর এলাকায় মো. শাহীন মিয়ার বাসায় ভাড়ায় থাকতেন। তিনি মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার মুন্সি কাদিরপুর এলাকার বাসিন্দা।

গ্রেপ্তার মাদক কারবারি সাইফুল ইসলাম সাভারের ইমান্দিপুর এলাকার বাসিন্দা।

এর আগে, গত ২ জুন খনিজনগর এলাকার ভাড়া বাসা থেকে নিখোঁজ হন ওই গৃহবধূ। এ ঘটনায় দুই দিন পর ৪ জুন সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন তার মেয়ে তানিয়া আক্তার।

নিহতের মেয়ে বলেন, মা কয়েক দিন আগে এক নারী মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তারে পুলিশকে সহায়তা করে। মা নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন আগে আমাকে ফোন করে জানিয়েছিল, স্বপন নামে নারী মাদক ব্যবসায়ীর স্বামী মাকে মারার জন্য লোক ভাড়া করেছে। এবার সেই স্বপনের বাড়ির পাশ থেকেই মায়ের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

ডিবি পুলিশ জানায়, মামলার ঘটনা তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার সাইফুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে জানা যায়, তিনিসহ ৪-৫ জন মিলে ওই নারীকে হত্যার পর মরদেহ খনিজনগর এলাকার স্বপনের বাড়ির পাশে মাটি চাপা দেয়। সেখানে গিয়ে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মোবাশশিরা হাবীব খান বলেন, ওই নারী নিখোঁজের পর ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশ ও সাভার মডেল থানা পুলিশ যৌথভাবে তদন্তে নেমে একজনকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তি হত্যার পর সীমার মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে রেখেছে বলে জানায়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই মরদেহ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী স্বপনের বাড়ির পাশ থেকে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত আরও কয়েকজনের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। তবে হত্যার কারণ এখনও সুনির্দিষ্ট নয়। তদন্ত চলছে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মে গোপন খবরের ভিত্তিতে খনিজনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুল হামিদ ও স্থানীয় স্বপনের স্ত্রী পপি আক্তারকে (২০) গ্রেপ্তার করে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।