ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনার উপকূলীয় তিনটি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল রোববার (৯ জুন)। এ তিন উপজেলায় তৃতীয় ধাপে গত ২৯ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে স্থগিত করা হয়।
এদিকে, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় নির্বাচনের পরিবেশ কিছুটা শান্ত থাকলেও ডুমুরিয়া উপজেলার থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শুক্রবার (৭ জুন) রাতে এ উপজেলায় দুই প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০-১২ জন আহত হয়েছে। উভয় প্রার্থী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রমতে, ডুমুরিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী তিন জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের জেলা শাখার সদস্য ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ। আওয়ামী লীগের জেলা শাখার আরেক সদস্য আজগর বিশ্বাস তারা এবং বিএনপি নেতা মোল্লা আবুল কাশেমের ছেলে মুনিমুর রহমান নয়ন। এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী চার জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তিন জন। ভোট কেন্দ্র ১০৮টি। ভোটারসংখ্যা ২ লাখ ৭৩ হাজার ১১৪ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৭ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬০৭ জন।
কয়রা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থী হলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম এবং অনাদী সানা। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নয় জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তিন জন। মোট ভোটার ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৩৭ জন। পুরুষ ভোটর ৯০ হাজার ৩২০ জন, মহিলা ভোটার ৮৮ হাজার ১৬ জন ও হিজড়া ভোটার একজন। ভোট কেন্দ্র ৬৭টি।
পাইকগাছায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৬ জন। এরা হলেন, শেখ কামরুল হাসান টিপু, আনন্দ মোহন বিশ্বাস, কৃষ্ণপদ মন্ডল, শেখ আবুল কালাম আজাদ, স ম শিবলী নোমানী রানা ও আছাদুল বিশ্বাস। ভাইস চেয়ারম্যান ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৯৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার ২ লাখ ৩১ হাজার ৯৩৮ জন। যার মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৭১ এবং নারী ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৭ জন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল হুসেইন খান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ৩৭ জন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। ডুমুরিয়া ও পাইকগাছায় বিজিবি থাকবে তিন প্লাটুন করে এবং কয়রায় দুই প্লাটুন। তাছাড়া কয়রা উপজেলায় কোস্ট গার্ড দায়িত্ব পালন করবে। অপরদিকে ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র্যাব, হাইওয়ে পুলিশ, নৌপুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের সকল উপকরণ কঠোর নিরাপত্ত্বার মধ্য দিয়ে বিতরণ করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রে ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে।