সারা বাংলা

আ.লীগ কর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে থানায় হামলা, আহত ৩০

মোস্তাক শিকদার নামের আওয়ামী লীগ কর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এসময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ছয় জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

রোববার (৯ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শৈলকুপা থানায় হামলা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম জানা যায়নি।

গ্রেপ্তারকৃত মোস্তাক শিকদার শৈলকুপা উপজেলার ঘাওড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় মামলা হয়েছিল। গত ২৩ মে মামলাটি হয়। মোস্তক শিকদার মামলাটির ৪৯ নম্বর আসামি। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য জানান।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে উপজেলার ধাওড়া গ্রামের স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী মুস্তাক শিকদারকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে থানায় আনে পুলিশ। এরপর কয়েক শ লোক থানা ঘেরাও করেন। তারা থানায় ইট নিক্ষেপ করতে থাকেন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সেসময় পুরো থানা চত্বর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলে সংঘর্ষ। এসময় পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মোস্তাক শিকদার নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে প্রায় ৩০০ মানুষ থানায় হামলা চালায়। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশসহ অনেকে আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে একজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর দুইজন শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

ঝিনাইদহর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, এ ঘটনায় চার জনকে আটক করা হয়েছে। হামলায় ৬ পুলিশ আহত হয়েছেন। আহত এক পুলিশ সদস্যের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তিনি আরো বলেন, হামলায় যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলা প্রতিরোধে পুলিশ টিয়ার শেল ও শর্টগানের গুলি ব্যবহার করেছে।