সারা বাংলা

মুন্সীগঞ্জে হত্যা মামলায় দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক বেগম খালেদা ইয়াসমিন উর্মি এ রায় দেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হাছান ছারওয়াদী। 

কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রতনপুর গ্রামের মান্নান চোকদারের ছেলে নূর হোসেন চোকদার (৪৮) ও আনোয়ার হোসেন (৩৮)। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার রতনপুর গ্রামের ছাদেকুল ইসলাম ও তার ভাতিজা শাকিল বাড়ি হতে বের হয়ে পাশের রাস্তায় আসলে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরাসহ আরও সাতজন  মিলে ছাদেকুল ইসলামকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে মারধোর করে। এ সময় আসামি নূর হোসেনের হুকুমে আনোয়ার হোসেন বন্দুক দিয়ে ছাদেকুলকে হত্যা করার জন্য গুলি ছুড়ে। আর নূর হোসেন রামদা দিয়ে ছাদেকুলকে কুপিয়ে জখম করে। অন্য আসামিরা ছাদেকুলকে পিটিয়ে সারা শারীরে জখম করে। এ সময় গুলির শব্দ পেয়ে ছাদেকুলের মেয়ে শারমিন ও তার চাচি হালিমা বেগম এগিয়ে এসে লোকজনের সহায়তায় ছাদেকুলকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় ছাদেকুলের স্ত্রী আসমা বেগম বাদী হয়ে ওইদিনই মুন্সীগঞ্জ থানায় ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকেই দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি পলাতক রয়েছে। মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর জেরা ও জবানবন্দির ভিত্তিতে আদালত আজ এ রায় দেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম পল্টু বলেন, সদর উপজেলার রতনপুর গ্রামের ছাদেকুল হত্যা মামলায় আসামি নূর হোসেন চোকদার ও অপর আসামি আনোয়ার হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। 

এ সময় অপর ৭ জন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আদেশের সময় খালাসপ্রাপ্ত ৭ আসামি আদালতে হাজির থাকলেও দণ্ডপ্রাপ্ত ২ আসামি হাজির ছিলেন না। বিচারকের রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ আমরা মেনে নিয়েছি, তবে খালাসপ্রাপ্ত ৭ আসামি হত্যার সাথে জড়িত আছে মর্মে বাদী ওই ৭ আসামির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।