সারা বাংলা

ঈদযাত্রায় বৃষ্টির বাগড়া, বেড়েছে ভোগান্তি

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেল থেকে হঠাৎ থেমে থেমে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এদিকে গাজীপুরের বহু শিল্প কারখানা ছুটি হয়েছে এদিন দুপুর থেকে।

কারখানা ছুটির পর ঈদ উদযাপন করতে একযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন শিল্প কারখানার শ্রমিকেরা। হঠাৎ এমন বৃষ্টির বাগড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখি মানুষেরা। মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে থেমে থেমে যানজট। 

তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে বাড়ি ছুটছেন ঘরমুখিরা। তাদের ভাষ্যে, ‘যতই বৃষ্টি হোক, পরিস্থিতি যেমনই হোক- ছুটি হয়েছে, বাড়িতে যাবই।’ অনেকে ছাতা নিয়ে, কেউ কেউ মাথায় পলিথিন পেঁচিয়ে ছুটে চলছে নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে। 

এদিকে বৃষ্টি ও অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় পরিবহন সংশ্লিষ্টরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলেও অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। 

ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার যানজট রয়েছে। এছাড়াও বাড়ইপাড়া, খারাজোর ও চন্দ্রা এলাকায় থেমে থেমে চলছে যানবাহনের জট। রাত যত বাড়ছে, তত দীর্ঘ হচ্ছে যানজটের সারি।

রাজশাহীগামী আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘দুপুর ১২ টার দিকে আমাদের কারখানা ছুটি হয়েছে। বাসা থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে সন্ধ্যার আগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। জয়দেবপুরের তিন সড়ক এলাকা থেকে কোনাবাড়ী আসার পথেই বৃষ্টি নামে। পল্লীবিদুৎ এলাকায় এসে বেশ কিছুক্ষণ যানজটে আটকে থাকি। এখন চন্দ্রায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি।’ 

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিগামী ফজল মিয়া বলেন, ‘ছুটিও হয়েছে এদিকে বৃষ্টিও নেমেছে। বৃষ্টি কখন থামবে জানি না। এজন্য ছাতা নিয়ে বের হয়েছি। অনেকেই ভিজে রওনা হয়েছে। চন্দ্রা ত্রিমোড়ে এসে দেখলাম গাড়ি আছে, তবে যাত্রীর চাপও বেশি। পরিবহনগুলো অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। কেউ কিছু বলছেও না।’ 

নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘দুপুর থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অনেক বেড়েছে। মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বৃষ্টি থাকায় কয়েক যায়গায় জটলা হয়েছে।’

পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে এমন অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।