সারা বাংলা

চাঁদপুর জেলা আ.লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক কারাগারে

এনআই অ্যাক্টের পৃথক দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ সাগরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালাত। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে চাঁদপুরের যুগ্ম দায়েরা জজ (প্রথম আদালত) বিচারক সাইয়্যেদ মাহাবুবুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে, একই দিন বিকেলে  চাঁদপুর শহর থেকে সদর মডেল থানার সহযোগিতায় হারুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।

হারুনুর রশিদ গত জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। দলীয় মনোনায়ন না পাওয়ায় নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ান তিনি।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, তার (হারুনুর রশিদ) বিরুদ্ধে এনআই অ্যাক্টের ৬ মাসের ও ১ বছর কারাদণ্ড প্রাপ্ত দুটি ওয়ারেন্ট ছিল। ওই ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে তাকে চাঁদপুর শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, চাঁদপুরের চান্দ্রা শিক্ষিত বেকার যুব বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের কাছ থেকে হারুনুর রশিদ ৩৬ কিস্তিতে ৩ বছর মেয়াদে ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ঋণ নেন। নির্ধারিত সময় ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় এবং তার প্রদেয় চেক ব্যাংকে ডিজঅনার হওয়ায় আদালতে মামলা হয়। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মামলাটি করেন মো. নুরু মিয়া শেখ। মামলায় আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চাঁদপুরের যুগ্ম দায়রা জজ (প্রথম আদালত) এর বিচারক সাইয়্যেদ মাহবুবুল ইসলাম চলতি মাসের ৫ তারিখে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও মামলায় বর্ণিত চেকের ২ কোটি টাকার অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন হারুনুর রশিদকে। ওই রায়ে উল্লেখ করা হয় অর্থদণ্ডের টাকা অভিযোগকারী পাবেন।

এ ছাড়াও, হারুনুর রশিদ চাঁদপুর শহরের গুনরাজদী এলাকার মো. শাহ আলম নামে ব্যক্তির কাছ থেকে ব্যবসার নাম করে নগদ সাড়ে ১১ লাখ টাকা নেন। তার টাকা সঠিক সময়ে পরিশোধ না করায় ওই ব্যক্তি এনআই অ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় মামলা করেন। এই মামলায়ও চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি একই বিচারক হারুনুর রশিদকে ৬ মাসের বিনাশ্রম ও সাড়ে ১১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। রায়ে উল্লেখ করা হয়, অর্থদণ্ডের টাকা অভিযোগকারী পাবেন।