ঢাকা-টাঙ্গাইলে মহাসড়কে সকাল থেকেই থেমে থেমে গাড়ির যানজট লাগে। আর সেই যানজট নিরসনে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পরিবহনগুলো বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্ত্বর দিয়ে ঘুরিয়ে আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়। এতে আঞ্চলিক সড়কে দুপুরের দিকে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব-ভুঞাপুর-টাঙ্গাইল সড়কের ভুঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসীর বাগবাড়ী হতে কালিহাতী নারান্দিয়া পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকেরা।
শুক্রবার (১৪ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদকে কেন্দ্র করে পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক করতে এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ১৩ কিলোমিটার মহাসড়ক একমুখি করা হয়। ফলে ওই সড়কে শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গগামী পরিবহনগুলো চলাচল করছে। ঢাকাগামী পরিবহনগুলো বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্ত্বর দিয়ে ঘুরিয়ে আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে। এতে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব-ভুঞাপুর-টাঙ্গাইল ২৯ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্নস্থানে যানজট দেখা দিয়েছে। দুপুরের দিকে ওই সড়কের ১০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বেলা ১২টার পর থেকে পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ফলে এই সড়কটিকে কোথাও যানজট না থাকলেও পরিবহনের চাপ রয়েছে বেশ। অন্যদিকে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকাগামী এসআর পরিবহনে সুপারভাইজার জানান, এক ঘণ্টা হল একইস্থানে দাঁড়িয়ে আছি। সকল পরিবহন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। এছাড়া স্থানীয় গাড়িগুলো বিপরীত দিক থেকে আসছে। এতে কোথাও কোথাও যানজট লাগছে।
এদিকে পরিবারের সাথে ঈদ করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক ও পিকআপযোগে বাড়ি ফিরছেও দেখা গেছে লোকজনকে। বাড়তি ভাড়া দিয়েও গণপরিবহন না পেয়ে নিম্নআয়ের মানুষজন খোলা ট্রাক ও পিকআপে যাচ্ছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মুখি পরিবহনগুলো স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করছে। ঈদ যাত্রায় তেমন ভোগান্তি নেই। তবে আঞ্চলিক সড়কে গাড়ির জট কিছুটা বেড়েছে।