সারা বাংলা

ফেরিতে যাত্রী‌-যানবাহনের চাপ থাকলেও নেই ভোগান্তি

পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লাখ লাখ মানুষ। সড়ক ও নৌপথে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের চাপ। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটেও বেড়েছে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ।

শনিবার (১৫ জুন) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-পথে বাড়তে থাকে যাত্রী ও যানবাহন। সময়মতো ফেরি চলাচল করায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারছেন এই রুট ব্যবহারকারী দক্ষিণাঞ্চলের মানুষরা।

সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়ায় আসা প্রতিটি ফেরি ছিল পরিবহন ও যাত্রীতে ভরা। যাত্রীরা ঘাটে নেমে বাস, মাহেন্দ্র ও মোটরসাইকেলে চড়ে তাদের গন্তব্যে রওনা হন। ফেরিতে আসা বাসগুলো নির্বিঘ্নে গন্তব্যে চলে যায়।দৌলতদিয়া ঘাটে যানজট না থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাচঞ্চল থেকে আসা ঢাকাগামী যানবাহনগুলোকে সরাসরি ফেরিতে উঠতে দেখা গেছে।

ঢাকা থেকে রাজবাড়ী আসা রাবেয়া পরিবহনের যাত্রী বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাচ্ছি। গত ঈদেও ঘাটে যানজট ছিলো না, এইবারও নেই। ঘাটে এসে জ্যামে বসে থাকতে হয়নি। পদ্মা সেতু হওয়ার আগে এই ঘাটের চিত্র ছিলো একদম ভিন্ন। ঈদের সময় তখন ৪-৫ ঘণ্টা বা তার চেয়েও বেশি সময় ঘাটে বসে না থেকে ফেরি পার হওয়া যেতো না।’

গার্মেন্টস কর্মী আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছর ঈদের সময় বাড়িতে যাই। এবারও যাচ্ছি। সময়মতোই আমরা নদী পার হয়ে গন্তব্যে যেতে পারছি।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব‍্যবস্থাপক সালাহউদ্দিন বলেন, যাত্রী ও যানবাহ‌নের চাপ আছে। কিন্তু ভোগান্তি নেই। এই রুটে এখন ছোট-বড় মিলিয়ে ১৮টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। আশা করছি, ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা বাড়ি ফিরবেন এবং ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরবেন।