বরিশালে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত ও কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (১৬ জুন) সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে বেপারী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানাধীন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে কাশিপুর ব্র্যাক ট্রেনিং সেন্টার অতিক্রমকালে গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই একটি ট্রাককে পেছন থেকে সজোরে বাসটি ধাক্কা দেয়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ট্রাকটি মহাসড়কের পাশে পুকুরে পড়ে যায়।
ঘটনাস্থলেই বাসচালকের সহকারী সোহাগ নিহত এবং ৮ যাত্রী গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে বাসের সুপারভাইজারের মৃত্যু হয়। তার নাম জানা যায়নি।
অপরদিকে আহত যাত্রীরা হলেন- পিরোজপুরের নেছারবাদ উপজেলার উরিবুনিয়া এলাকার মোহাম্মদ ইমন (২১), পটুয়াখালীর খাসেরহাট এলাকার মোহাম্মদ আরিফ (৩০), মহিপুরের মো. একরামুল (২৬), পটুয়াখালীর গলাচিপার মো. সোহাগ (২৫), বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাওকাঠি এলাকার মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান (৪০), পটুয়াখালীর মহিপুরের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর (৪৫), কামাল হাওলাদার (৪০) ও রানা (২৫)। এরা সবাই বাসযাত্রী।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন জানান, দুর্ঘটনার পর বাস ও ট্রাকের চালকের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এর আগে রোববার ভোররাতে বরিশাল-ঝালকঠি মহাসড়কে পৃথক আরেকটি দুর্ঘটনায় বাসের সঙ্গে থ্রি-হুইলারের (সিএনজি) সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন থ্রি-হুইলার চালক ও বরিশাল নগরীর কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা আল-আমিন (৩৫) ও মঠবাড়িয়ারর বাসিন্দা যাত্রী আলতাফ মুন্সী (৭০)।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরাদ আলী জানান, উপজেলার শ্রীরামপুর বাজারে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে সাকুরা পরিবহনের বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালক ও যাত্রী নিহত হয়েছেন।
নিহত থ্রি হুইলার চালক আল-আমিনের বন্ধু মিঠু জানান, যাত্রী নিয়ে আল-আমিন ঝালকাঠি গিয়েছিল। সেখান থেকে এক বৃদ্ধ যাত্রীকে নিয়ে বরিশালে ফিরছিল সে। শ্রীরামপুর বাজারে পৌঁছুলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পিরোজপুরগামী সাকুরা পরিবহনের বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।