সারা বাংলা

টাঙ্গাইলে দেখা মিলেছে রাসেলস ভাইপারের

টাঙ্গাইল শহরে দেখা মিলেছে বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের। শনিবার (২২ জুন) সকালের দিকে শহরের সাবালিয়া পাঞ্জাপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাবেক গভর্নমেন্ট প্লিডার (জিপি) অ্যাডভোকেট মো. আব্দুর রশিদের বাসায় এই সাপ দেখতে পাওয়া যায়। পরে প্রাণীটিকে পিটিয়ে মারেন লোকজন। এছাড়াও, দেলদুয়ার উপজেলার আতিয়া ইউনিয়নের বিরনাহালী গ্রামে এই জাতের আরও একটি সাপের দেখা মেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।

পাঞ্জাপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘টাঙ্গাইল শহরের ড্রেনগুলোর সঙ্গে লৌহজং নদীর সংযোগ রয়েছে। সেখান থেকে সাপটি আসতে পারে। সাপটি মারার পর এলাকার মানুষ অনেকেই আতঙ্কিত। এ বিষয়ে বন বিভাগের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া এখনি জরুরি।’

সাবেক জিপি অ্যাডভোকেট মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমি বাসার নিচে চেম্বারে বসে কাজ করছিলাম। বৃষ্টির মধ্যে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আমার বাসার এক ভাড়াটিয়া বাইরে বের হচ্ছিলেন। ওই সময় তিনি দেখেন একটি রাসেলস ভাইপার সাপ গেট পেরিয়ে বাসার ভেতরে প্রবেশ করছে। তখন তিনি ডাকাডাকি শুরু করেন। আমার চেম্বারের লোকজন গিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সাপটি মেরে ফেলেন। সাপের দৈর্ঘ্য প্রায় দুই হাত। এরপর থেকে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই সাপ একসঙ্গে ৫০ থেকে ৬০টি বাচ্চা দেয়। সেহেতু বাসার আশেপাশে আরো সাপ থাকতে পারে। আমাদের এই মহল্লায় সাপ নিধনে দ্রুত অভিযান চালানো জরুরি।’

আতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পরিমল চন্দ্র দে বলেন, ‘বৃষ্টির আগে এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি ৭টি বাচ্চাসহ একটি বড় রাসেলস ভাইপার দেখেছেন। লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।’

টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ বলেন, ‘আমরা মূলত বন্যপ্রাণি নিয়ে কাজ করি। বর্তমানে সারাদেশে রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সাপটি আমাদের দেশীয় কোনো জাত নয়। তাছাড়া আমরা সর্প বিশেষজ্ঞও নই। বিষয়টি জানলাম। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করব। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’