শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিনের মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার নকলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানা। সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে আপিল আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অব্যাহতির রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেবুন নাহার।
আরও পড়ুন: সপ্তাহ পেরুলেও সাজার নথি পায়নি রানার পরিবার, আপিলে বিলম্ব
শেরপুরের নকলা উপজেলায় ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) প্রকল্প ও জায়কা প্রকল্পের টাকার খরচের বিষয়ে তথ্য অধিকার ফরমে আবেদন করার পর সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানাকে ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিনের নির্দেশে সহকারী কমিশনার শিহাবুল আরিফ ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাত মাসের কারাদণ্ড দেন। তাকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হলে তদন্তে নামে তথ্য কমিশন। তথ্য কমিশনের তদন্তে দোষী সাবস্ত হয় ইউএনও। তথ্য কমিশন ইউএনও সাদিয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে।
আরও পড়ুন: আপিলে সাংবাদিক রানার সাজা মওকুফ হতে পারে : ইউএনও বানিন
রায় ঘোষণার সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেবুন নাহার বলেন, ভোগকৃত সাজাই চূড়ান্ত। ১৮৮ ধারায় শফিউজ্জামান রানার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়, তা থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হলো এবং ৫০৯ ধারা মোতাবেক যে অভিযোগ দায়ের করা হয়, সেই ধারায় যতদিন সাজা ভোগ করা হয়েছে, তা থেকে অব্যাহতি দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করা হলো।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রানা জামিনে কারামুক্ত
রানার পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহিম বাদল বলেন, যে ধারায় মামলা করা হয়েছে, সেটা যথাযথ হয়নি। রানাকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় আদালতকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এ ব্যাপারে জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এপিপি আরিফুর রহমান বলেন, প্রচলিত ধারায় মামলা হয়নি, তাই রানা খালাস পেয়েছেন।
আরও পড়ুন:সাংবাদিক রানার মুক্তির দাবিতে শেরপুরে মানববন্ধন
এ ব্যাপারে সাংবাদিক রানা বলেন, ‘আমি তথ্য চাইতে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার হয়েছি। আদালতের রায়ে আমি সন্তুষ্ট। এভাবে কোন মানুষকে যেন ক্ষমতার অপব্যবহারে নির্যাতনের শিকার হতে না হয়।’