ভোলার পূর্ব ইলিশা নৌ থানা পুলিশের গুলিবিদ্ধ সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোক্তার হোসেন এখন শঙ্কামুক্ত। অপারেশনের পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
রোববার (২৩ জুন) বিকেলে থানার ভেতরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। নৌ পুলিশের বরিশাল অঞ্চলের পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন বলেন, ভোলার পূর্ব ইলিশা নৌ থানার এএসআই মোক্তার হোসেন ডিউটিতে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন।
থানার টেবিলে চারটি পিস্তল রাখা ছিল, যেখান থেকে তার একটি পিস্তল পছন্দমতো নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। পিস্তলটি নেওয়ার সময় ট্রিগারে হাত পড়ে যায় এবং মিসফায়ার হয়। গুলিটি পেটের ডান পাশে লেগে কোমরের কাছাকাছি বাম পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। রোববার রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার অস্ত্রপচার শেষে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
যে অস্ত্র থেকে গুলি বের হয়েছে, সেটি কেনো লোড করা ছিল, আর কে করলেন, জানতে চাইলে এসপি বলেন, পিস্তলটি লোড কীভাবে ও কেনো হয়েছে তা তদন্তের বিষয়। আর তিনি (পুলিশ সদস্য) কেন অসতর্ক অবস্থায় এটি ধরলেন, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। অন্য কোনো ঘটনা নয়, কেন মিসফায়ার হলো, তা অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।
সেফটি লক বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সেফটি লক করা থাকলে তো গুলি বের হয়ে আসত না। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
পূর্ব ইলিশা নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিদ্যুৎ কুমার বড়ুয়া জানান, আহত পুলিশ সদস্যের বাড়ি চট্টগ্রামে। আর কাপ্তাই লেকে তার ডিউটি পড়েছিল। আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব পড়ে। আর কাপ্তাই লেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, সেখানে আমাদের অনেক সদস্যের প্রতি বছরই দায়িত্ব পড়ে। কাপ্তাই লেকের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এএসআই মোক্তার।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রেজা আলম বলেন, পুলিশ সদস্যের গুলি বের করা হয়েছে। তিনি এখন শংকামুক্ত। বর্তমানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় নৌ পুলিশের এএসআই গুলিবিদ্ধ