আম রপ্তানি বাড়াতে বিভিন্ন দেশের ১৩ রাষ্ট্রদূত চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমবাগান পরিদর্শনে এসেছেন বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে কসবা ইউনিয়নের কেন্দবোনা এলাকায় একটি বাগান পরিদর্শনের পূর্বে এ তথ্য দেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে অনেক রাষ্ট্রদূত আছেন। এখানে তারা এসেছেন তাদের সরকারকে ও আমাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করতে। তাদেরকে উৎসাহিত করতে আমবাগান পরিদর্শনে নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের দেশের আম যদি তারা উৎসাহী হয়ে তাদের দেশে আমদানি করে। তাহলে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সুমিষ্ট যে ফলগুলো পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম আম। বিদেশে এখন যে পরিমাণ আম যাচ্ছে, তা আরও বাড়াতে রাষ্ট্রদূতদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
আম রপ্তানি ও বিপণন নিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, কৃষি উৎপাদন যেখান থেকে শেষ হয়, সেখান থেকেই বাণিজ্যের কাজ শুরু হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমকে দেশে ও বিদেশে ব্র্যান্ডিং করার জন্য বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা খুবই আগ্রহী। বাগান ঘুরে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা অভিজ্ঞতা নিয়ে যাবেন এবং তাদের দেশে সরকারের সঙ্গে আম রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা করবেন। গুড এগ্রিকালচার প্রাকটিসের (জিএপি) মাধ্যমে যদি আম উৎপাদন না করা যায় তাহলে বিদেশে আম রপ্তানি করা সম্ভব না। ইতোমধ্যে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে গ্যাপ পদ্ধতিতে আম চাষাবাদ শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কৃষি ও বাণিজ্য সেই সঙ্গে পররাষ্ট্র এই তিনটি মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে আমের ব্র্যান্ডিংটা শুরু করেছি। প্রান্তিক পর্যায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আসা এটা একটা বড় অর্জন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের সাইজ ও গায়ের রঙ দেখে আমরা সবাই অভিভূত হয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আম রপ্তানির ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন আছে। একেক দেশের নিয়ম একেক রকম। দেশের কয়েকটি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করছে বিদেশে আম রপ্তানির জন্য। ভালোভাবে কাজ করা গেলে আম রপ্তানিতে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জিয়াউর রহমান, জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন প্রমুখ।
আম বাগান পরিদর্শন করেছেন ব্রুনাই দারুস সালাম, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, স্পেন, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভুটান, ভিয়েতনাম, শ্রীলংকা, মিয়ানমার ও লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধিরা।