জুয়া খেলতে গিয়ে ফারুক হোসেন (৫০) ও সোনা মিয়া (৫৫) নিখোঁজ হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের যমুনা নদীর গলনারচর ও বাইনকার চর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গত বুধবার রাতে নিখোঁজ হয়েছিলেন এই দুই ব্যক্তি।
ফারুক হেসেন ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালি ইউনিয়নের দক্ষিণ উদখালি গ্রামের মৃত নজলার রহমানের ছেলে। সোনা মিয়া একই উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারি গ্রামের তিন নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের দুইদিন পর নদী থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার
উদাখালি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শুনেছি গত বুধবার রাতে উপজেলার কালিরক্যাশ নামক চরে জুয়া খেলতে যান ফারুক ও সোনা মিয়া। বাঁশির শব্দ শুনে জুয়া খেলা অবস্থায় ১০ থেকে ১৫ জন ব্যক্তি যমুনা নদীতে লাফ দেন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ফারুক ও সোনা মিয়া। অনেক খোঁজখুঁজি করেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ শুক্রবার সকালে তাদের মরদেহ নদীতে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।’
উদাখালি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খাজা মিয়া বলেন, ‘দুই মাস আগে দুবাই প্রবাসী ফারুক হোসেন গ্রামে ফিরে আসেন। ঘটনার রাতে মোশাররফ হোসেন লম্বু এসে ফারুক হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় পরদিন মোশাররফ হোসেন লম্বু ফারুক হোসেনের ভাবিকে বলেন, নদীর ওপারে জুয়া খেলার সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তারা নদীতে লাফ দেন। সোনা মিয়া ও ফারুক হোসেন পাড়ে ফিরতে পারেননি। মূলত এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তারা।’
দুই মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘গলনার চর ও বাইনকার চরের যমুনা নদীতে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ ফারুক ও সোনা মিয়া নামের দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা পেশাদার জুয়ারি ছিলেন। কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।’