পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতাকে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে কাজে লাগাতে হবে। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দক্ষ নেতৃত্ব গড়ে তুলতে নতুন নতুন উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’
শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে গাজীপুরের বোর্ড বাজারস্থ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’র (আইইউটি) ৩৬তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু আমরা আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলি, তাই বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত সুযোগ সুবিধাকে কাজে লাগাতে হবে। আমি নিশ্চিত, আপনারা এখান থেকে যে শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তা দিয়ে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন।’
তিনি গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজকের দিনটি শুধুমাত্র আপনাদের একাডেমিক প্রচেষ্টার সমাপ্তি নয়, সীমাহীন সম্ভাবনায় ভরা একটি নতুন অধ্যায়েরও সূচনা। আপনাদের অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সমাজের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ডার্টমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রভোস্ট এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস চ্যান্সেলর ফর একাডেমিক অ্যাফেয়ার্স অধ্যাপক ড. মো. আতাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সেক্রেটারি জেনারেলের প্রতিনিধি ড. আহমেদ কাউইসা স্যানগেনডু। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সৌদি আরবের কিং সাউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোনজি বিভাগের অধ্যাপক এবং আইইউটির গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর সালেহ ইব্রাহিম আল কাসুমী।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ ওআইসির ১৪টি দেশের ৫৪৩ জন শিক্ষার্থীকে গ্রাজুয়েট সনদ প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে ৪৮০ জন বাংলাদেশের এবং ৬৩ জন শিক্ষার্থী অন্যান্য ১৩টি দেশের। অনুষ্ঠানে আব্দুল্লাহ তাহারাত নামের একজন শিক্ষার্থীকে ওআইসি স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। সিফাত মাহমুদ সিদ্দিক, তাহমিদ আরশীল, রিয়াজ হাসান জোয়ারদার, মামান ইউসুফ খান, ইমেইল হক মুনমুন, ফাতিমা মেহের ও মাইমুনা আক্তারকে আইইউটি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।