সারা বাংলা

খুলনায় ৩০০ ছাত্রীর বাল্যবিয়ে না করার শপথ

‘বাল্যবিবাহকে না বলতে হবে এবং সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে’— এভাবে বাল্যবিবাহ বন্ধের শপথ করল খুলনার মাধ্যমিক পর্যায়ের তিনশত ছাত্রী।

সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে খুলনার বয়রা হাজী ফয়েজউদ্দিন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ডিজিটাল সিস্টেমের আওতায় স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ ঘণ্টা’ বিষয়ক সচেতনতামূলক সভায় এ শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। খুলনা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

অনুষ্ঠানে বলা হয়, সরকার বাল্যবিবাহ বন্ধে আইন প্রণয়ন করেছে। দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী পুরুষের ক্ষেত্রে ২১ বছর এবং নারীর জন্য ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ করা যাবে না। বাল্যবিবাহ দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অপরাধে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা। খুলনা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাসনা হেনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে হাজী ফয়েজউদ্দিন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপ কুমার বৈরাগী, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মাসাসের নির্বাহী পরিচালক শামীমা সুলতানা শীলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার সাজিয়া আফরিন সিদ্দিকী।  

অতিথিরা বলেন, ১০৯৮, ১০৯ ও ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বাল্যবিবাহ বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন সময় হলো নিজেকে তৈরি করার। ভালোভাবে পড়াশুনা করে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে হবে। অনার্স-ডিগ্রি পাস না করা পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীদের হাতে মোবাইল ফোন না দেওয়ায় ভালো। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অভিভাবকদের কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাল্যবিবাহ বন্ধে শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করান।