বান্দরবানে গত দুই দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। এতে বিভিন্ন এলাকায় বন্যা ও পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে নিরাপদ স্থানে সরে আসার জন্য জনগণকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
সোমবার (১ জুলাই) বিকেলে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা মীরা, পৌর মেয়র শামসুল ইসলামসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন। এসময় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মাইকিং করে নিরাপদ স্থানে সরে আসার জন্য জনগণকে অনুরোধ করেন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় লামা এলাকায় ১৬০ দশমিক ৩ মিলিমিটার এবং বান্দরবান জেলা সদরে ৮৩ দশমিক ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে লামা পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন উপজেলায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তী জানান, আজ সোমবার (১ জুলাই) দুপুর ১২টায় নেওয়া রেকর্ড অনুযায়ী সাঙ্গু নদীর বান্দরবান শহর পয়েন্টে পানি এখনও বিপদসীমার ৫ মিটার নিচে থাকলেও মাতামুহুরী নদীর লামা পয়েন্টে বিপদসীমার খুব কাছাকাছি দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলার সকল উপজেলা প্রশাসনসমূহকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর বান্দরবানে ২-৮ আগস্ট টানা বর্ষণে পাহাড় ধস ও বন্যায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। সেসময় পাহাড়ি ঢলে ২ জন ও পাহাড় ধসে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।