কক্সবাজারে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘আধিপত্য বিস্তারের জেরে’ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন (আরএসও)-এর মধ্যে গোলাগুলিতে এক নৈশপ্রহরী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই জন। তারা কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মো. আমির জাফর এ তথ্য জানান।
নিহত নৈশপ্রহরীর নাম মো. সলিম (৩০)। তিনি একই এলাকার মো. মকবুলের ছেলে। আহতরা হলেন- একই ক্যাম্পের মো. আলমের ছেলে মো. ইউনুস এবং আরিফ উল্লাহর ছেলে সবি উল্লাহ।
স্থানীয়দের বরাতে এডিআইজি মো. আমির জাফর বলেন, ‘সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের হাকিমপাড়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-৩ ব্লকের বালুর মাঠ এলাকায় মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা ও আরএসও’র মধ্যে গোলাগুলি হয়। খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ঘটনাস্থল থেকে এক জনের মৃতদেহ এবং দুই জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আহতদের পরে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সেখানে চিকিৎসাধীন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, আধিপত্য বিস্তারের জেরে রোহিঙ্গাদের দুই সন্ত্রাসী দলের মধ্যে সংঘর্ষে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।’
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘একজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’