মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় খেত থেকে আখ চুরির সন্দেহে মো. সিয়াম (১২) নামে এক শিশুকে গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে মো. করিম মাদবরের (৬০) বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়নের পূর্ব নিতীরা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নির্যাতনের শিকার সিয়াম উপজেলার সোনারং গ্রামের মো. টুকু সরদারের ছেলে। মা-বাবার বিচ্ছেদের পর থেকে সে পূর্ব নিতারী গ্রামে নানা মো. মন্নান শেখের কাছে থাকে। সিয়াম নিতিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, পূর্ব নিতীরা গ্রামের রিয়াদ, রনি ও রাশিদুল মিলে করিম মাদবরের খেত থেকে আঁখ চুরি করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে করিম মাদবর সিয়ামকে ধরে এনে গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করতে থাকেন। এসময় নির্যাতিত শিশু বলতে থাকে, দাদা আমি চুরি করিনি। প্রয়োজন হলে আমি আপনাকে আখের দাম দিয়ে দেব। আমাকে মারবেন না। আমাকে ক্ষমা করে দেন। এরপরেও করিম মাদবর সিয়ামকে পেটাতে থাকেন।
সিয়ামের চাচা আলমগীর সর্দার বলেন, ‘যারা আঁখ চুরি করছে তাদের না ধরে আমার ভাতিজাকে আম গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। যা আইন বহির্ভূত। আমরা শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করব। সংবাদ সম্মেলন করব। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’
এবিষয়ে জানতে করিম মাদবরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আড়িয়ল ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘শিশুটি নির্দোষ। তাকে মেরে অমানবিক কাজ করেছেন করিম মাদবর। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আড়িয়ল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. দুলাল হালদার বলেন, ‘আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। এটি অমানবিক ঘটনা। আমার কাছে এখনো এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি।’
টঙ্গীবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোয়েব আলী বলেন, ‘এ রকম কোনো তথ্য আমাদের কাছে এখনো আসেনি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি। বিষয়টির সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’