নাটোরের গুরুদাসপুরের একটি মাটির বাড়ি থেকে ৫০টির বেশি সাপ উদ্ধারের পর পিটিয়ে মেরেছেন স্থানীয় লোকজন। বুধবার (৩ জুলাই) সকালে উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের শিকারপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মতিনের মাটির ঘর থেকে সাপগুলো উদ্ধার হয়।
কৃষক আব্দুল মতিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মাটির বাড়িতে বসবাস করছেন। আজ সকালে ঘরের দরজার পাশে একটি সাপের বাচ্চা দেখতে পান তিনি। ধরতে গেলে সাপটি গর্তের ভেতরে লুকায়। পরে প্রতিবেশী কয়েকজন যুবকের সহযোগিতায় লোহার সাবল দিয়ে গর্ত খুঁড়ে একের পর এক সাপের বাচ্চা ও বড় সাপ বের করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঘরের বিভিন্ন স্থান খুঁড়ে ৫০টির বেশি সাপ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় লোকজন একসঙ্গে এতো সাপ দেখে আতঙ্কে সেগুলোকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদী হাসান জানান, আব্দুল মতিনের বাড়ি থেকে এতো সাপ বের হওয়ার পর থেকে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
পরিবশেকর্মী সাইফুল ইসলাম ও নাজমুল হাসান বলছেন, পরিবেশকর্মী, বন বিভাগসহ প্রশাসনকে খবর দেওয়া উচিত ছিল গ্রামবাসীর। সাপগুলো পিটিয়ে মারা ঠিক হয়নি। বনবিভাগকে বিষয়টি জানালে তারা অবশ্যই সাপগুলো উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে দিয়ে যেতো।
রাজশাহী বন্যপ্রাণী বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেছেন, সাপ মারার বিষয়টি আমরা জানা নেই। বন্যপ্রাণী হত্যা দণ্ডনীয় অপরাধ। ছবি দেখে কী ধরনের সাপ গ্রামবাসী পিটিয়ে মেরেছেন তা বোঝা যাচ্ছে না।