সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের খোলপেটুয়া গ্রামে কৃষক লীগ নেতা আবুল কাশেমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এতে ১৫ জনের নাম উল্লেখ এবং নাম না জানা আসামি করা হয়েছে ৭-৮ জনকে। নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
শনিবার (৬ জুলাই) শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার চিংড়ি ঘেরে কৃষকলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
এদিকে, গত শুক্রবার বিকেলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে আবুল কাশেমের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। একই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, নিহত আবুল কাশেমের স্ত্রী ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে খোলপেটুয়া গ্রামের মুছা গাজীকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছেন। মামলায় আরও ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নাম না জানা আসামি করা হয়েছে ৭-৮ জনকে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, খোলপেটুয়া গ্রামের চিংড়ি ঘেরের ২৫ বিঘা জমি নিয়ে গাবুরা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি আবুল কাশেমের সঙ্গে লোকমান গাজীদের বিরোধ চলছিল। গত বৃহষ্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাদী ও তার স্বামী আবুল কাশেম বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে ঘেরে পাতা আটল (খাচা) থেকে মাছ ধরতে যান। রাত ১২টার দিকে তারা মাছ ধরার নৌকায় উঠলে লোকমান, মুছা, শোকর আলী, আবু সাঈদ, আনিসুর, সালাউদ্দিন, সেকেন্দার, সুমনসহ ২০/২২ জন তাকে (ফিরোজা) ঘেরে মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত ডিঙি নৌকার মধ্যে হাত-পা, চোখ ও মুখ বেঁধে ফেলে রাখে। এসময় তার স্বামী আবুল কাশেমকে নৌকা থেকে নামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
খবর পেয়ে নিহতের ভাই জাভিদ হাসান, স্ত্রী রেবেকা খাতুন, তাদের ছেলে আবু তালেব, নিহতের ছেলে ছেলে আবু হুরাইরা ঘটনাস্থলে যান। তারা ফিরোজাকে উদ্ধার করেন। পরে ঘেরের পানিতে তারা আবুল কাশেমকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
নিহতের ভাই জাভিদ হাসান জানান, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তার ভাই আবুল কাশেমের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। দুই দিনেও কোন আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় বাদীসহ পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সরল বিশ্বাস বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় আসামিদের বাড়ি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আসামিরা সুন্দরবনের ভেতর আত্মগোপন করেছেন।