সারা বাংলা

রোগীকে যৌন হয়রানি: চিকিৎসক ও ক্লিনিকের মালিক কারাগারে

আল্ট্রাসনোগ্রাম করার সময় এক রোগীকে (২২) যৌন হয়রানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার পাবনার নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক শোভন সরকার (২৮) ও ওই ক্লিনিকের মালিক জীবন আলীকে (৩০) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৭ জুলাই) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জুলফিকার হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিরা জামিন আবেদন করলে পাবনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামাল হোসেন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, এক গৃহবধূ আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য পাবনার নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসেন। নির্ধারিত কক্ষে প্রবেশের পর চিকিৎসকের সহকারী গৃহবধূর তলপেটে জেল মাখেন। এ সময় ডা. শোভন সরকার তার সহকারীকে বাইরে যেতে বলে গৃহবধূকে যৌন হয়রানি এবং যৌন উত্তেজকমূলক আচরণ করেন। গৃহবধূ আল্ট্রাসনোগ্রাম কক্ষের বাইরে এসে তার স্বামীকে বিষয়টি জানান। পরে গৃহবধূর স্বামী অভিযুক্ত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে চিকিৎসক বলেন, আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্যই তিনি এসব করেছেন। ঘটনার প্রতিবাদ করলে সেখানে উপস্থিত নাজমুল হোসেন নামের এক যুবক গৃহবধূর স্বামীকে মারতে যান এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে এসে ক্লিনিকের মালিক জীবন আলী বলেন, চিকিৎসক কোনো অন্যায় করেননি, আল্ট্রাসনোগ্রামের সময় এমনটা করতে হয়। একপর্যায়ে ক্লিনিকের মালিক জীবন ও নাজমুল ভুক্তভোগীদের ক্লিনিক থেকে বের হয়ে যেতে বলেন, না হলে হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেন।

এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ডা. শোভন ও ক্লিনিকের মালিক জীবনকে গ্রেপ্তার করে।

পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রওশন আলী বলেন, রোগীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।