সারা বাংলা

ডলার ভর্তি ব্যাগের আশায় ৭৮ লাখ টাকা খোয়ালেন বৃদ্ধ 

বরিশাল নগরীর বাসিন্দা রত্নেশ্বর মাঝি (৬৫) প্রতারক চক্রের পাতানো ফাঁদে পড়ে ৭৮ লাখ টাকা খুইয়েছেন। এলিজাবেথ এরিস নামে এক ব্যক্তির পাঠানো ডলার ভর্তি ব্যাগ পাওয়ার আশায় তিনি প্রতারনার শিকার হন। পরে তার দায়ের মামলায় প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। 

গ্রেপ্তার সোহাগ শেখ (২৪) শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামের জব্বার শেখের ছেলে। তার কাছ থেকে থেকে ৩৫টি ব্যাংকের ৮৬টি এটিএম কার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৫১টি চেকের পাতা, চারটি মোবাইল ও ৮টি সিম উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (০৭ জুলাই) বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা। 

ঘটনার বিবরণে উপ-কমিশনার বলেন, মামলার বাদী বরিশাল নগরীর বাসিন্দা রত্নেশ্বর মাঝির (৬৫) ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে গত বছরের ১৯ নভেম্বর খায়রুন নেছা নামে এক নারী ফোন দেন এবং চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশন কাস্টমস অফিসার হিসেবে নিজের পরিচয় দেন। এরপর তিনি রত্নেশ্বর মাঝিকে জানান, তার (রত্নশ্বর মাঝির) নামে বিদেশি নাগরিক এলিজাবেথ এরিস একটি লাগেজ পাঠিয়েছেন, যার মধ্যে বিপুল পরিমাণে ডলার আছে। এরপর খায়রুন নেছা নামে ওই নারী রত্নেশ্বর মাঝিকে বিভিন্নভাবে লোভে বশীভূত করেন এবং ডলারগুলো কাস্টমস থেকে ছাড়ানোর জন্য পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পরিমাণের টাকা দাবি করেন। রত্নেশ্বর ২৩ দিনে বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে ও বিকাশ নম্বরে ৭৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা পাঠান। এরপরও লাগেজ ছাড়াতে আরও টাকা লাগবে জানালে রত্নেশ্বর বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন। তখন তিনি কোতয়ালি মডেল থানায় গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর মামলা করেন। 

উপ-কমিশনার আলী আশরাফ বলেন, এ মামলায় কোতয়ালি মডেল থানার এসআই রেজাউল ইসলামসহ একটি টিম তদন্ত শুরু করে। মামলাটি তদন্তের একপর্যায় ঢাকার মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহাগ শেখকে গ্রেপ্তার করে। 

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার সোহাগ শেখ প্রতারক চক্রের প্রথম স্তরের লোক। এখানে আরও ৪ থেকে ৫টি ধাপে ১০-১২ বা তারও অধিক সদস্য রয়েছে। যার মধ্যে দেশের বাইরেও একটি স্তর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। যারা প্রতিটি স্তরে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।