বগুড়ায় রথের চূড়ায় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে প্রাণহানির বিষয়ে জানতে চাইলে ইসকন বগুড়া শাখার অধ্যক্ষ খরাজিত কৃষ্ণদাস বলেছেন, ঘটনার আগে রথযাত্রায় প্রচুর ভিড় ছিল। আমি বারবার ‘গম্বুজটি’ নামাতে বলেছি। কিন্তু, আমার কথা কেউ শোনেনি। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আমিও পড়ে গেছি। এরপর আর কিছু জানি না।
তিনি আরও বলেন, সড়কে তার থাকবেই। তারের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় রথের গম্বুজটি নামানোর কথা ছিল। এজন্য আমাদের লোকজনও ছিল।
রোববার (৭ জুলাই) রাত ১০টার দিকে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে, বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী আমতলা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৫ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হন।
নিহতরা হলেন- বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের মৃত সুদেবের মেয়ে শ্রীমতি রনজিতা (৬০), আদমদীঘির কুণ্ডগ্রামের মৃত ভবানী মহন্তের ছেলে নরেশ মহন্ত (৬০), বগুড়া সদরের রেলগেট এলাকার লঙ্কেশ্বরের স্ত্রী আতসী রানী (৪০), শিবগঞ্জ উপজেলার কুলুপাড়া গ্রামের মৃত নারায়ণ কুমারের ছেলে অলক কুমার (৪২) ও অজ্ঞাত এক নারী।
পড়ুন: বগুড়ায় রথযাত্রায় দুর্ঘটনা, প্রত্যক্ষদর্শী যা জানালেন
বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, অসতর্কতার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর না ঘটে।