সারা বাংলা

পিরোজপুরের শিকাদারমল্লিক ইউপি চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত 

পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকাদারমল্লিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হাওলাদারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। 

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার স্বাক্ষরিত ৭ জুলাইয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, শহিদুল ইসলাম হাওলাদার শিকদার মল্লিক ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ আইন বিষয়ক সম্পাদক।

স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়। তিনি সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের পাঁচপাড়া বাজারে থাকা সর্বজনীন কালীমন্দির ভাঙচুর ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম হাওলাদারের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র পিরোজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কর্তৃক গৃহীত হওয়ায় এবং পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে শহিদুল ইসলাম হাওলাদারকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরাখাস্ত করা হয়েছে।

পিরোজপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সরদার ফারুক আহম্মেদ জানান, পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের একটি সর্বজনীন কালীমন্দির ২০১৮ সালের ৭ জুলাই ভাঙচুর হয়। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে জনৈক সুভাষচন্দ্র মিস্ত্রী বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় ওই বছরের ৭ অক্টোবর মামলা করেন। তাতে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হাওলাদারকে প্রধান আসামি করা হয়।

পুলিশ তদন্ত শেষে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হাওলাদারসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৫ মে দণ্ডবিধির ১৪৩, ৪৪৭, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৭, ২৯৫, ৩৭৯, ৪২৭, ৫০৬ এবং ১১৪ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

পিপি আরও জানান,  আদালত শহিদুল ইসলাম বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করলে তিনি কিছুদিন কারাভোগের পরে জামিনে মুক্তি পান। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের ভিতরে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, তিনি এখনও চিঠি পাননি তবে লোকমুখে শুনেছেন। চিঠি হাতে পাওয়ার পরে তিনি এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন।