সারা বাংলা

সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে

বগুড়ার নন্দীগ্রামে অবৈধভাবে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুকুল মিয়ার বিরুদ্ধে।

রোববার (৭ জুলাই) সকাল ১০টায় উপজেলার রণবাঘা বাজার সংলগ্ন ডাকবাংলোর ভেতর থেকে মুকুলের নির্দেশে পাইকর, ইউক্যালিপটাস, মেহেগনি, ফলজ গাছসহ ১৫টি গাছ কাটা হয়। পরে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে গেলে গাছ ঘটনাস্থলেই ফেলে রেখে চলে যায় তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, জেলা পরিষদের একজন সদস্য গাছগুলো কেটেছে। গাছ কাটার খবর পেয়ে সেখানে প্রশাসন থেকে লোক পাঠানো হয়। তখন তারা গাছ কাটা বন্ধ করে কাটা গাছগুলো ডাকবাংলোর ভেতরেই রেখে চলে যায়।

গাছ বিক্রির টেন্ডার হয়েছিলো কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর সঠিক কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। গাছ যারা কাটছিলো তাদের কাছে আমরা কাগজপত্র চেয়েছি। এসিল্যান্ডের কাছে তাদের কাগজপত্র দেওয়ার কথা। এখনও তারা কাগজপত্র দাখিল করেনি। তারা যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে না পারলে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে বগুড়া জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুকুল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি জানি যে ভুলক্রমে কেউ ২/৪টা গাছ কেটেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় এবং উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় বিষয়টি দেখছেন।

আপনিই নাকি গাছগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন এমন অভিযোগ উঠেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা মিথ্যা। আমি ঘটনাস্থলেই যাইনি।