লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে তিস্তা নদীর ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি নেমে গেলেও ভোগান্তি কমেনি প্লাবিত নিম্নাঞ্চলে। গ্রামীণ কাচা সড়ক ও কৃষকের চাষাবাদকৃত ধান, পাট, বীজতলা ও বাদামের ক্ষতি হয়েছে।
সোমবার (৮ জুলাই) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নদীর পানি লোকালয় থেকে নামতে শুরু করেছে। জেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে ফসলের ক্ষেত ও গ্রামীণ সড়কের ক্ষতি হয়েছে।
আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের তিস্তা নদী তীরবর্তী বাসিন্দা আজগর আলী বলেন, ‘গত চার দিন তিস্তার পানি লোকালয় ছিল। আজ (সোমাবার) সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। নদীর চরে ধান চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করেছিলাম। টানা কয়েক দিন পানির নিচে থাকায় সেই বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে।’
একই ইউনিয়নের স্পার বাঁধ এলাকার জাহাঙ্গীর ইসলাম বলেন, গতরাতে বৃষ্টি হলেও নদীর পানি কমে যাচ্ছে। এজন্য নিম্নাঞ্চল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে রাস্তাঘাটের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
সদর উপজেলার পাকার মাথার বাসিন্দা মজিবর বলেন, নদীর পানি এ পর্যন্ত ৭-৮ বার বাড়ল, আবার কমে গেল। গত তিন দিন বেশি ছিল। আজকে কমতে শুরু করেছে। হঠাৎ করে পানি বেড়ে যাওয়ায় ধান আর বাদামের ক্ষতি হয়েছে। চরের জমিতে চাষ করা অনেকের জমির পাটের ক্ষতি হয়েছে। পানি কমা শুরুর পর থেকে নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চর ও নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করে। এতে কৃষকের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা নিরুপণে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার রায় বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। আজ সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমতে শুরু হওয়ায় কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে জরুরি আপদকালীন জিও ব্যাগ ফেলার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।