শুধু বিসিএস-এর প্রশ্ন ফাঁস নয়, কুয়াকাটায় নির্মাণাধীন ‘সান মেরিনা’ হোটেলের মালিকানা দাবি করে নিজ ফেসবুকে শেয়ার বিক্রির পোস্ট দেওয়ার ঘনটাও ছিল সহকারী কর্ম কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক সৈয়দ আবেদ আলীর একটি প্রতারণা।
তাকে গ্রেফতারের পর বিষয়টি নজরে আসে হোটেল কর্তৃপক্ষের। মূলত হোটেলটির মালিক লিবার্টি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারেফ হোসেন।
‘সান মেরিনা’ হোটেল নিয়ে বিসিএস-এর প্রশ্ন ফাঁসকারীর অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সৈয়দ আবেদ আলী তার নিজ ফেসবুক ওয়ালে গত ১৮মে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমাদের নতুন হোটেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম আজ। হোটেল সান মেরিনা, কুয়াকাটা। সমুদ্র কন্যার পাড়ে আজীবন থাকার ব্যবস্থা ও একই সাথে একটি হোটেলের মালিকানা আর্জন করতে আপনিও শেয়ার কিনতে পারেন। শেয়ার কিনতে যোগাযোগ করুন।’ তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার ওই ফেসবুক পোস্ট সবার নজরে আসে।
লিবার্টি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারেফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সৈয়দ আবেদ আলীর হোটেলের কোনো শেয়ার মালিকানা নেই। ২০১০ সালে কুয়াকাটার ৭নং ওয়ার্ডের পাঞ্জুপাড়া এলাকা থেকে তিনি ৪০ শতক জমি ক্রয় করেন। এখনো হোটেলটি নির্মাণ হয়নি। চারিদিকে সীমানা প্রাচীর দেওয়া হোটেলের জায়গা খালিই পড়ে আছে। তবে শ্রমিকদের থাকার জন্য বেশ কয়েকটি শেড তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে একটি সাইনবোর্ড টানানো আছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) গুলশান থানায় আবেদ আলীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।’
হোটেল সান মেরিনার সাইট ম্যানেজার ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমি ৭/৮ বছর ধরে এই মালিকের চাকরি করি। আমি কোনো দিন আবেদ আলী নামের কারও নামই শুনিনি। তবে বেশ কিছুদিন আগে তিনি আমাদের এখানে এসেছিলেন। কথা প্রসঙ্গে কীভাবে শেয়ার কিনতে হয় সেটা সে আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন। সেসময় আমি ঢাকায় হেড অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছিলাম।’
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, কুয়াকাটায় আবেদ আলীর কোনো জমি আছে কিনা, বা সান মেরিনায় কোনো শেয়ার আছে কিনা, সে বিষয়ে আমার তদন্ত করতে হবে। যদি আবেদ আলীর মালিকানাধীন কিছু পাওয়া যায় তাহলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।