সারা বাংলা

নরসিংদী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, এক বছরে বদলে গেছে ‘দৃশ্যপট’

জনভোগান্তি নিরসন করে নরসিংদী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেবার মান বেড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এতে বেড়েছে রাজস্ব আয়। পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেওয়া সেবার মান অনুযায়ী নেওয়া হয় ব্যবস্থা। ভালো সেবা দিলে করা হয় পুরস্কৃত। আর অভিযোগ পেলে নেওয়া হয় ব্যবস্থা।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) নরসিংদী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো. জামাল হোসেন এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, নরসিংদীতে বর্তমানে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু রয়েছে। আবেদনকারী ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে, ফরম পূরণ করে আবেদন ফরমের সঙ্গে পুরাতন পাসপোর্ট বা আইডি কার্ড সংযুক্ত করে জমা দিলেই ভোগান্তি ছাড়াই কাজ হচ্ছে। এছাড়া, গ্রাহকদের সমস্যা সমাধানে প্রতি সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে গণশুনানি।

জামাল হোসেন দাবি করে বলেন, বর্তমানে নরসিংদী পাসপোর্ট অফিসে দালাল প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। গ্রাহকরা সবকিছু নিজে করতে পারছেন। ফলে প্রতিদিন বাড়ছে গ্রাহকের সংখ্যা। এতে বেড়েছে রাজস্ব আয়।

তিনি বলেন, তারপরও যদি কোনো গ্রাহক দালালের খপ্পরে পড়েন, সরাসরি আমাকে জানাবেন। আমি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিব। পাসপোর্ট অফিসের গেটে একটি ‘জবাবদিহিতা বক্স’ স্থাপন করেছি। গ্রাহক কেমন সেবা পেলেন সেটা আমাকে লিখে জানাতে পারেন।

‘অফিসের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রাহকের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলে তাকে পুরস্কৃত আর খারাপ করলে শাস্তির আওতায় আনার জন্য জবাবদিহিতা বক্স স্থাপন করেছি। এছাড়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা, অসুস্থ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে বিশেষ সুবিধা।’ - যোগ করেন জামাল হোসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নরসিংদী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এক বছর আগে দৃশ্যপট ছিল ভিন্ন। সে সময় ছিল দালালদের দৌরাত্ম্য। ফলে গ্রাহককে গুণতে হতো বাড়তি টাকা। সঙ্গে ছিল ভোগান্তি। তবে, এক বছরে অনেক কিছু বদলে গেছে।

নরসিংদী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে এখানে ২০০ গ্রাহক নির্ধারিত ফি দিয়ে পাসপোর্টরে জন্য আবেদন করেছেন।

পাসপোর্ট নিতে আসা শাকিল মিয়া নামে এক যুবক বলেন, চলতি মাসের প্রথমে অনলাইনে আবেদন করে পাসপোর্ট করতে দিয়েছিলাম। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই পাসপোর্ট হাতে পেয়েছি। পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত সবাই খুবই আন্তরিক।

আব্দুল রফিক নামে এক বৃদ্ধ বলেন, নরসিংদী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেবার মান আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়া পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছি। আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হতো, এখন সেটা লাগছে না। আর সবচেয়ে ভালো দিক হলো, পাসপোর্ট অফিসে কোনো দালাল দেখিনি।

আশরাফুল ইসলাম নামে একজন বলেন, আমার পাসপোর্ট ও আইডি কার্ডে নামের কিছুটা সমস্যা ছিল। সেটি সমাধানে এডির কাছে গিয়েছিলাম। তিনি দ্রুতই সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন।