চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী জেলায় প্রতি হাজার জীবিত জন্ম নেওয়া শিশু মৃত্যুর হার গড়ে ৭ দশমিক ৫। যেখানে জাতীয়ভাবে শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২৭ জন। মায়ের সচেতনতার কারণেই শিশুমৃত্যু কমিয়ে আনা গেছে বলে জানিয়েছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের আলোচনা সভায় মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার তুলে ধরে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। সংস্থাটি জানিয়েছে- শূন্য থেকে ১ বছর বয়সী শিশু মারা যায় সবচেয়ে বেশি। যা প্রতি হাজারে ১০ দশমিক ৪ জন।
এর মধ্যে শূন্য থেকে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু প্রতিহাজারে মারা যায় ২৫ জন। ০ থেকে ৭ দিন বয়সী শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৫, ৮ থেকে ২৮ দিন বয়সী শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ১, ২৯ দিন থেকে এক বছর বয়সী শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৪ জন। অন্যদিকে ১ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু মারা যায় প্রতি হাজারে ৪ দশমিক ৪৬ জন। জেলা মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে শূন্য দশমিক ৬৫ জন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ল্যাব কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক দেবেন্দ্রনাথ উরাঁও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আবুল কালাম সাহিদ, সদর উপজেলা নির্বাহী মোছা. তাছমিনা খাতুনসহ অনেকে।
সভায় জানানো হয়, জেলার ৮০ শতাংশ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নরমাল ডেলিভারি সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া জেলায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তির দ্বারা প্রসবের হার ৮০ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
আলোচনা সভা শেষে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।