সারা বাংলা

গণধর্ষণ মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফাঁসলেন ইউপি সদস্য

উদ্দেশ্যমূলকভাবে গণধর্ষণ মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছেন চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য হাসিনা বেগম। গণধর্ষণের দাবিতে আদালতে মামলা করেন তিনি। অবশেষে সেটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় উল্টো তাকেই কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (১২ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের এপিপি অ্যাডভোকেট শাওন। এর আগে বুধবার (১০ জুলাই) চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল হান্নান এই রায় প্রদান করেন।

আদালত সূত্র জানায়, ইউপি সদস্য হাসিনা বেগম করোনাকালীন একই এলাকার তিন জনকে ফাঁসানোর জন্য আসামি করে গণধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। তদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষায় ধর্ষণের ঘটনা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। পরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১৭ ধারায় হাসিনা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই মামলায় ১০ জুলাই, বুধবার হাসিনা বেগম স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

স্থানীয়রা জানান, হাসিনা বেগম সরকারি জায়গা লিজের মাধ্যমে পাইয়ে দেওয়ার নাম করে, সরকারি ঘর এনে দেবে বলে, সেলাই মেশিন, টিউবওয়েল, বিভিন্ন ভাতা, ১৫ টাকা দরে চাউলের কার্ড, জেলে কার্ডসহ নানা সহায়তা দেবে বলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। সেই প্রতারণার প্রতিবাদ করায় তিন জনকে ফাঁসাতে নিজেকে গণধর্ষণ করা হয়েছে এমন অভিযোগে মামলা করেন। অবশেষে আদালতের ন্যায় বিচারে সন্তুষ্ট এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালের এপিপি অ্যাডভোকেট শাওন বলেন, ‘নারী ইউপি সদস্য হাসিনা বেগম উদ্দেশ্যমূলকভাবে অন্যদের ফাঁসাতে গণধর্ষণের মামলা দায়ের করে। পরে তা বানোয়াট ও মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এরপর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১৭ ধারার হাসিনা বেগমকে জেলহাজতে পাঠান আদালত।’

এসময় ইউপি সদস্য হাসিনা বেগমের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।