ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় সকালে ঘুম থেকে ডেকে তুলে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে। এ সময় অভিযুক্ত নিহতের স্বামীকেও হত্যা চেষ্টা করেন। তবে, তিনি দৌঁড়ে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
শনিববার (১৩ জুন) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর গ্রামে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। মুক্তাগাছা থানার ওসি (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত গৃহবধূর নাম শিউলী আক্তার (৩০)। তিনি একই গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী। অভিযুক্ত সোলায়মান মিয়া নিহত শিউলীর চাচা শ্বশুর।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গোয়ারী উত্তর গ্রামে সিএনজি অটোরিকশা চালক শরিফুল ইসলাম পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে শরিফুলের ৬ বছর বয়সী মেয়ে লামিয়ার সঙ্গে সোলায়মানের ছেলের ঝগড়া হয়। এরই জেরে আজ সকালে সোলায়মান এসে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী আক্তারকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সোলায়মান দা দিয়ে শিউলি আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে সোলায়মান দা নিয়ে শরিফুলকে হত্যার জন্য তাড়া করেন। শরিফুল দৌঁড়ে বাড়ির পাশের পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে রক্ষা পান।
মুক্তাগাছা থানার ওসি (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।