সারা বাংলা

নতুন শিক্ষাক্রম সার্কভুক্ত দেশগুলোও ফলো করছে: মাউশি মহাপরিচালক

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নতুন মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের নতুন কারিকুলামের শিক্ষাব্যবস্থা অন্যান্য সার্কভুক্ত দেশগুলো ফলো (অনুসরণ) করার চেষ্টা করছে। নতুন কারিকুলাম নিয়ে আমরা যে কাজটা শুরু করেছি ভারতেও তা পাইলটিং হচ্ছে। হয়তোবা তারাও (ভারত) ১-২ বছরের ভেতরে এই শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আসবে। আশার কথা হলো, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আমরাই এই কাজটি প্রথম শুরু করেছি।’

শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

মাউশি মহাপরিচালক বলেন, ‘নতুন কারিকুলাম নিয়ে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার অভিভাবকদের মিসলিড করে। কারণ কোচিংয়ের বই ও গাইডের একটা বিশাল মার্কেট আছে। আমরা মোটামুটি খবর পেয়েছি, তিন হাজার কোটি টাকার ওপরে তার পুঁজি খাটিয়েছে। এতো টাকা খাটিয়েছে যে তাদের বই ও কোচিং চলবে না। স্বাভাবিকভাবে এদের একটা বিশাল গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপটাই আমাদের বিপক্ষে অবস্থান নেবে। তাই নতুন কারিকুলাম নিয়ে অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে আমাদের এমন রূপান্তর ঘটানো ছাড়া বিকল্প ছিল না।’

সরকারি কলেজে দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীদের সরকারিকরণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের একটা চেষ্টা আছে, আলোচনা আছে। অনেকের সরকারি চাকরি করার বয়স নেই। তাই অন্য কোনোভাবে তাদেরকে প্রোভাইড করা যায় কিনা সেটা মন্ত্রণালয়ের চিন্তা ভাবনার মধ্যে আছে।’

এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মাউশির নতুন মহাপরিচালক। তিনি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধের প্রশাসনিক ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন তিনি।

এ সময় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।