সারা বাংলা

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননাকারীদের শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

আন্দোলনের নামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মুক্তিযোদ্ধ সংসদ সন্তান কমান্ড। পরে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের নিউমার্কেট মোড় থেকে মিছিলটি বের হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সদস্য সচিব ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি। 

সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির বলেন, ‘আমি স্মারকলিপি পেয়েছি। এটি আমি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়ে দেবো।’

জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন- সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিমুন সামস, সদস্য নাজমুন আসিফ মুন্নি, ছাত্রলীগের মেহেদী হাসান, সাতক্ষীরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের মো. রিয়াজুল ইসলাম, এস এম পলাশ রহমান, গাজী আরেফিন, কালিগঞ্জের ফারুক হোসেন, সাইফুল ইসলাম, শ্যামনগরের মনিরুজ্জামান ডলার, রফিকুল ইসলাম বাবলু, মোস্তফা কামাল, তালার জাহিদুর রহমান লিটু ও তৌহিদুর রহমান প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, কোটা আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে অপমান-অপদস্ত করছে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিলের যে দাবি আন্দোলনকারীরা তুলেছেন, তা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮(৪) এবং ২৯ (৩) (ক) অনুচ্ছেদের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে কোটাপদ্ধতি বহাল থাকতে হবে।

পৃথিবীর সব রাষ্ট্রেই সরকারি চাকরি থেকে শুরু করে নাগরিক নানা সুযোগপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে সমতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কোটাপদ্ধতি চালু আছে। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে কোটা ব্যবস্থা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। সেখানে চার ধরনের নাগরিকদের জন্য মোট ৪৯.৫ শতাংশ কোটা ব্যবস্থা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত।