নীলফামারীতে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর ১২টার দিকে শহরের পিটিআই মোড়ে সমবেত হন কোটা আন্দোলনকারীরা। এক পর্যায়ে তারা শহরের স্বাধীনতা অম্লান স্মৃতিস্তম্ভ পাদদেশে পুলিশ ট্রাফিক বক্স ভাঙচুর করেন। পরে আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে এবং সেখানে জুয়েলারি সমিতির অনুষ্ঠানের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। এরপর তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান দরজা ভাঙচুর করেন। সেখান থেকে আন্দোলনকারীরা পিটিআই মোড়ে গেলে সেখানে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে।
এসময় ১০ পুলিশ সদস্য, নিউজ টুয়েন্টি ফোরের সাংবাদিক আব্দুর রশীদ, এটিএন নিউজের ক্যামেরাপারসন সাদ্দাম আলী ও কোটা আন্দোলনকারীসহ প্রায় ৩০ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিরুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনকারীরা বেশকিছু স্থাপনায় ভাঙচুর করলে, তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
সৈয়দপুরে আন্দোলনকারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এখনো চলছে। এখন পর্যন্ত অর্ধশত আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।