সারা বাংলা

নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ, পাবনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কারাগারে

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে করা মামলায় পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজকে (২৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৪ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে পাবনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন সবুজ। পরে আদালতের বিচারক মো. কামাল হোসেন শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল আহাদ বাবু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, গত ১১ জুন উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন সবুজ। শুনানি শেষে জামিন না দিয়ে পরবর্তী ছয় সপ্তাহের মধ্যে পাবনার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।

মামলার এজাহারে জানা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে গত বছরের ২ ডিসেম্বর পাবনার চাটমোহরে এক পথসভায় উসকানি ও হুমকিমূলক বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘পাবনা-৩ আসনে মকবুল চাচা ছাড়া কেউ ভোট করতে পারবে না। যারা নৌকার বিপক্ষে অবস্থান করবে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম।’

এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজকে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে ৪ ডিসেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন পাবনা-৩ আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সদস্য, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তাজউল ইসলাম। ৫ ডিসেম্বর সশরীর হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়ে আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চান সবুজ। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে জানান নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক।

২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। চাটমোহর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে পরদিন ২ জানুয়ারি চাটমোহর থানায় সবুজকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

আসামিপক্ষের আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক বলেন, এটা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের মামলা। আত্মসমর্পণ করার পর জামিন আবেদন করলেও আদালত দেননি। আমরা আগামীতে আবারও তার জামিনের চেষ্টা করব।