সারা বাংলা

কক্সবাজারে নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি গঠন

কক্সবাজারে নাশকতা ও নৈরাজ্য প্রতিরোধে ১৪ দলীয় জোটের উদ্যোগে কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে পৌরসভা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২০১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবছারের সভাপতিত্বে ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার-৩ (সদর, রামু ও ঈদগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য ও হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল। 

সভায় কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছারকে আহ্বায়ক, কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুল হক মার্শালকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে ২০১ সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কিছুতেই ব্যাহত হতে দেওয়া হবে না। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ করার কাজে জড়িত সন্ত্রাসী-নাশকতাকারীদের যে কোনোভাবে রুখে দিতে হবে। এ জন্য সম্মিলিত প্রয়াসের দরকার। 

জাতীয় সংসদের হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, ‘সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলনের সুযোগে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীরা কক্সবাজার বিমান বন্দরে আগুন দিতে প্রস্তুতি নিয়েছিলো। সেই সাথে কক্সবাজার পৌরসভা অফিস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সদর মডেল থানায় হামলার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগসহ সর্বস্তরের সচেতন মানুষ সময়মত রুখে দাঁড়ানোয় এসব স্থাপনা রক্ষা পেয়েছে।’ 

হুইপ আরও বলেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলনে এক শ্রেণির মানুষ ঢুকে তাণ্ডব চালায়। ২০১৮ সালেও এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিল তারা। ২০২৪ সালের জুন মাসের শেষের দিকে কোটা বিরোধী আন্দোলন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে আইনমন্ত্রী বলেন বিষয়টি সরকার নয়, সুপ্রিম কোর্ট দেখবে। এরপর এ বিষয়ে সংযত থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী আহ্বান করেন। কিন্তু বিএনপি তা না মেনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে নাশকতায় লিপ্ত হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই নাশকতায় দায়ী নয়। বিএনপি-জামায়াতই এর জন্য দায়ী।’

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা দিনমজুর, চালক ও খেটে খাওয়া মানুষকে সহযোগিতা করবো। এছাড়াও দৃষ্টান্তমূলক লক্ষাধিক জনগণ নিয়ে শান্তি সমাবেশ করবো।’

এ সময় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম মাদু, জেলা জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন মাসু, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফি উল্লাহ আনসারীসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।