সারা বাংলা

ট্রলারডুবিতে নিখোঁজদের খুঁজতে গিয়ে নিখোঁজ আরও ২  

কক্সবাজারের টেনকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে গিয়ে স্পিডবোট ডুবে আরও দুজন নিখোঁজ হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান। 

এর আগে গতকাল বুধবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলার চর থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির এ ঘটনা ঘটে। ট্রলারটিতে ৬ জন মাঝিমাল্লাসহ ১৭ জন লোক ছিলেন।

দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন- সেন্টমার্টিনের ছলিম উল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ শওকত (২৭), মৃত আজম আলীর ছেলে মো. ইসমাঈল (২৮) ও মৃত আবদুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ফাহাদ (৩০)। 

ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেন্টমার্টিন থেকে চারটি স্পিড বোটে করে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার অভিযানে নামেন। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১২ জন লোককে জীবিত উদ্ধার করে সেন্টমার্টিন ফিরছিল স্পিডবোটগুলো। পথে উত্তাল ঢেউয়ে ট্রলারের আরেকজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে একটি স্পিডবোট ডুবে যায়। সেখানে ছয় জন ছিলেন। এদিকে বুধবার রাত ৮টার দিকে ডুবে যাওয়া স্পিডবোটের চার জন সাঁতরিয়ে শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম সৈকতে ওঠেন। বাকি দুজন উঠতে পারেননি।’

ডুবে যাওয়া স্পিডবোট থেকে সাঁতরে তীরে ফেরা সেন্টমার্টিন ডেইলপাড়ার বাসিন্দা উম্মত আলী বলেন, ‘আমরা চারটি স্পিডবোট নিয়ে সাগরে নেমে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছিলাম। ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রী ইসমাঈলকে আমাদের স্পিডবোটে উঠিয়ে দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দিই। সেসময় ঢেউয়ের তাণ্ডবে স্পিডবোটটি উল্টে যায়। আমরা চারজন সাঁতরে উঠে এলেও দুইজন নিখোঁজ থাকে।’ 

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, ‘উদ্ধারকারী চারটি স্পিডবোটের একটি ডুবে যায়। ওই স্পিডবোটে থাকা ছয় জনের মধ্যে চার জন সাঁতরে উঠে এলেও দুজনকে পাওয়া যায়নি। এছাড়া ট্রলারের আরও এক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন।’

সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘৬৫ দিন মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে সেন্টমার্টিনের সাদ্দাম হোসেনের মালিকানাধীন এফবি সাদ্দাম টেকনাফ ঘাটে ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর ট্রলারটি সেন্টমার্টিনদ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এসময় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাওয়া ১২ জন যাত্রী ট্রলারটিতে ওঠে। একই সঙ্গে ট্রলারটিতে ছয় জন মাঝিমাল্লা ছিল। বিকেলে ট্রলারটি শাহপরীরদ্বীপ অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় পৌঁছলে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়।’