সারা বাংলা

অপহৃত ৩ ছাত্রী মাদারীপুরে উদ্ধার

বরিশাল থেকে অপহরণ হওয়া চতুর্থ শ্রেণির তিন মাদরাসা ছাত্রীকে মাদারীপুর থেকে উদ্ধার করেছে হাইওয়ে পুলিশ। রোববার (২৮ জুলাই) ১১টার দিকে তাদের রাজ্যৈর উপজেলার টেকেরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে ছাত্রীদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

পুলিশ ও ছাত্রীদের পারিবার জানায়, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের আমানতগঞ্জের বেলতলা এলাকায় অবস্থিত জামিয়া ইসলামিয়া মাহমুদিয়া মাদরাসার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল ওই প্রতিষ্ঠানটির চতুর্থ শ্রেণির তিন ছাত্রী। এ সময় কয়েকজন যুবক চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে তিন ছাত্রীকে ইজিবাইকে করে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে আসে। পরে ছাত্রীদের ঢাকায় পাচারের জন্য যাত্রীবাহী একটি বাসে উঠায়। সে সময় এক ছাত্রী বুঝতে পারেন তাদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ সময় পাশে থাকা এক যাত্রীর মোবাইল দিয়ে ওই ছাত্রী কৌশলে তার বাবার মোবাইল নম্বরে ফোন করেন। পরে ছাত্রীর বাবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানান। 

রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ডোমরাকান্দি এলাকার ‘হাইওয়ে লাম মীম হোটেলে’ যাত্রাবিরতি দেয় পরিবহনটি। এ সময় তিন ছাত্রী বাস থেকে নেমে দৌঁড়ে একটি ইজিবাইকে উঠে টেকেরহাট বন্দরের দিকে আসেন। তাদের ধাওয়া দিয়ে ধরার চেষ্টা করে অপহরণকারীরা। 

এদিকে, অপহৃত তিন ছাত্রীকে উদ্ধারে নামে বরিশালের গৌরনদী, মাদারীপুরের মোস্তফাপুর ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশ। পরে ইজিবাইকযোগে ওই তিন ছাত্রী টেকেরহাট বাসস্ট্যান্ডে আসলে সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান অপহরণকারীরা। পরে পরিবারের সদস্য ও বরিশাল থেকে পুলিশ আসলে ছাত্রীদের তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

অপহৃত এক ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে অন্য যাত্রীর মোবাইল দিয়ে কল করে অপহরণের কথা আমাকে জানায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে ‘৯৯৯’ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশের সহায়তা চাই। হাইওয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক আমার মেয়েকে উদ্ধারে মাঠে নামে।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ মো. খায়রুল আনাম জানান, ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে তিনটি হাইওয়ে থানা পুলিশ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসায়। পরে টেকেরহাট উত্তরপাড় বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তিন শিশুকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যান।

মাদারীপুরের রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার আসাদ বলেন, ‘মেয়ে তিনটি উদ্ধারের ব্যাপারে থানায় কেউ কোনো সংবাদ জানায়নি। লোকমুখে শুনেছি বিষয়টি। যেহেতু বরিশালের ঘটনা এবং হাইওয়ে থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করেছে, সে কারণে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবে।’